(দেবাশীষ চক্রবর্তী বাবু) কলারোয়ায় দৃর্ঘদিন পর পানের দাম বাড়ায় স্বস্থি পেয়েছেন পান চাষীরা। দৃর্ঘ করোনা কালীন সময় ধরে পান চাষীদের ঘুম উড়ে গিয়েছিলো পানের দাম কম থাকায়। দৃর্ঘ খরচের বহর সামলে অতি যত্নে আগলে রেখেছেন পানের বরজ। ধার দেনা করে নিজের সন্তানের মত করে লালন করে রেখেছেন শত অভাব অনটনকে উপেক্ষা করে।
শীত মৌসুমে পান গাছের বৃদ্ধি খুব ধীর গতিতে বাড়ে যার কারণে পানের উৎপাদন ও কম হয় আর এই কারণে পানের দামও শীত মৌসুমে বাড়ে। শীত ও কুয়াশা পানের ব্যাপক ক্ষতি করে, পান পাকা, ঝরে যাওয়া, গাছের মাথা কুচড়ি মারা এমন নানা সমস্যার সম্মুখি হয়। তবে শত প্রতিকুলতাকে উপেক্ষা করে কৃষকের পান রক্ষার কমতি রাখছেন না। শীত শুরুর সময়ে কুয়াশা থেকে রক্ষায় বরজের চালের ছাউনি খড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া, বরজের চারি পাশে পলিথিন দিয়ে আবদ্ধ করে দেওয়া যাতে শীতল বাতাস ও কুয়াশা ঢুকতে না পারে। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি শীত মৌসুমে পানের দাম একটু বৃদ্ধি পাওয়ায় পান চাষীদের কিছুটা হলেও স্বস্থি ফিরেছে। পানের বাজার দর বেড়েছে, ছোট পান পোন প্রতি ২০/২৫ টাকা, মাঝারি পানের দাম ৪০/৬০ টাকা ও বড় পানের দাম ১০০/১৫০ টাকা।

জয়নগরের পান চাষী বিধান দাস জানিয়েছেন, তিনি ২ বিঘা জমিতে পান চাষ করেছেন। গত দুই বছর ধরে পানের দাম এক নাগাড়ে কম থাকায় পান চাষীদের চরম প্রতিকুলতার সমূখীন হতে হয়েছে। ব্যায়বহুল এ চাষে লাভ্যাংশ না আসলে ধার দেনায় নিশ্ব করে ফেলবে চাষীদের তাই তিনি মাননীয় কৃষি মন্ত্রির কাছে বিনিত আকুতি জানিয়েছেন যাতে সকল কৃষি পন্যোর বাজার যেনো নিয়ন্ত্রনে রেখেন তাহলে কৃষি ও কৃষক দুইয়ের সুদিন আসবে। তিনি আরও জানিয়েছেন কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। সেই সাথে কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ও ঝামেলা মুক্ত ঋনের ব্যাবস্থার জন্য বিনিত আকুতি জানিয়েছেন।

জয়নগরের আরেক কৃষক কৃষ্ণ দাস জানিয়েছেন, তিনি ৩ বিঘা জমিতে পানের চাষ করেছেন, নানা প্রতিকুলতার মধ্যো দিয়ে ৩ বিঘা জমির পান বরজ আগলে রেখেছেন। ব্যায় বহুল খরচ, পানের বাজার মূল্য কম এর মধ্যো দিয়ে অতি যত্নে তিনি পান বরজকে সামলে রেখেছেন। তবে পানের বাজার দর একটু বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

এছাড়াও জয়নগরের অন্যান্য পান চাষীরাও পানের বাজার দর বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সেই সাথে তারা কৃষি ঋন সহজ শর্তে ও ভর্তুকি পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন এছাড়াও তারা আরও জানিয়েছেন সকল কৃষি পন্যোর বাজার দরটি নিয়ন্ত্রনে রেখে কৃষি ও কৃষকদের দেনার দায় থেকে মুক্তির আকুতি জানিয়েছেন।
Sent from my Samsung Galaxy smartphone.